ICT HSC

ICT HSC

ICT HSC

WATCH ON YOUTUBE

অধ্যায় – ১

( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (প্রথম অংশ)

নিচের কোনটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ?

ক। রেডিও খ। টেলিফোন

গ। মোবাইল ঘ। উপরের সবকটি

ইন্টারনেট কি ?

ক। বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক খ। একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক

গ। একটি ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে ঘ। উপরের সবকটি

ঘরে বসে বিশ্বের সাথে উভমুখী যোগাযোগের উপায় হল –

ক। রেডিও খ। গাড়ি

গ। ইন্টারনেট ঘ। উপরের সবকটি

তথ্য প্রযুক্তি গ্রহণ ও ব্যবহারের প্রধান অন্তরায় কোনটি

ক। অবকাঠামো  (Infrastructure) খ। আইনি কাঠামো (Legal Framework)

গ। মানুষের সক্ষমতা (Human Capacity) ঘ। উপরের সবকটি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সাথে কোন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ?

ক। তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি খ। কম্পিউটিং এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি

গ। যোগাযোগ প্রযুক্তি ঘ। উপরের সবকটি

বাংলাদেশে প্রচলিত টেলিভিশনের আদর্শমান কোনটি ?

ক। SECAM খ। PAL

গ। NTSC ঘ। HDTV

ইন্টারনেট প্রটোকল কোনটি ?

ক। TCP/IP খ। UDP

গ। NetBIEU ঘ। Arpanet

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ – ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

আশিক অন লাইনের মাধ্যমে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেছে । তার কিছু বন্ধু কানাডাতে পড়াশুনা করে । সে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং পড়াশুনার বিষয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট শেয়ার করত । আশিক পড়াশুনা শেষ করে কোথাও চাকুরি করে না কোন ব্যবসা ও করে না । এখন সে ঘরে বসেই উপার্জন করে ।

অনলাইনে বিভিন্ন ডকুমেন্ট শেয়ার করা যায় –

ক। ইমেইলের মাধ্যমে খ। মোবাইলের মাধ্যমে

গ। ফ্যাক্সের মাধ্যমে ঘ। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে

ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে উপার্জন করা যায় –

ক। কুটির শিল্প তৈরি করে  খ। আউটসোর্সিং করে

গ। জমিতে ফসল চাষ করে ঘ। টিউশনি করে

নিচের কোনটি সরাসরি কথার মাধ্যমে যোগাযোগের সফটওয়্যার ?

ক। স্কাইপি খ। গুগল টক

গ। ইয়াহু মেসেঞ্জার ঘ। উপরের সবকটি

এক ন্যানোমিটার হচ্ছে –

ক। এক মিটারের একশত কোটি ভাগের একভাগ খ। ১০ -৯ মিটার (m)

গ। ১/২৫৪০০০০০ ইঞ্চি   ঘ। উপরের সবকটি

বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজের ধারণাটি কে প্রথম উল্লেখ করেন ?

ক। মার্শাল ম্যাক্লুহান খ। বিল গেটস

গ। স্টিভেন ওযনিয়াক ঘ। বারাক ওবামা

নিচের কোনটি বিশ্ব গ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ প্রতিষ্ঠার মেরুদণ্ড ?

ক। হার্ডওয়্যার খ। সফটওয়্যার

গ। ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ঘ। মানুষের সক্ষমতা

ক্রায়োসার্জারিতে নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয় ?

ক। তরল নাইট্রোজেন  খ। তরল অক্সিজেন

গ। তরল আমোনিয়া ঘ। উপরের সবকটি

নিচের কোনটি বায়মেট্রিক্স পদ্ধতি নয় ?

ক। ফিংগার প্রিন্ট খ। ডিএনএ

গ। হ্যান্ড জিওমেট্রি ঘ। শরীরের মাপ

একটি চুলের প্রস্থ কত ন্যানো মিটার ?

ক। দশ ন্যানোমিটার খ। এক লক্ষ ন্যানোমিটার

গ। দশ হাজার ন্যানোমিটার   ঘ। এক হাজার ন্যানোমিটার

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

ICT (Information and Communication Technology) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে কোন প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরন,সঞ্চালন এবং বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিকে ICT (Information and Communication Technology) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে ।

IT (Information Technology) তথ্য প্রযুক্তি কি ?

উত্তরঃ IT (Information Technology) তথ্য প্রযুক্তি হল প্রযুক্তির একটি শাখা যা কম্পিউটারের সাহায্যে তথ্য বিতরণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ করার সাথে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর ডিজাইন, উন্নয়ন, বাস্তবায়ন, সহয়তা ও ব্যবস্থাপনা ।

Communication Technology যোগাযোগ প্রযুক্তি  কাকে বলে ?

উত্তরঃ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য উপাত্ত প্রেরণ করার সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তিকে Communication Technology যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে ।

Computer  কি ?

উত্তরঃ Computer একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক হিসাবকারি যন্ত্র যার সাহায্যে ইনপুট থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত গ্রহণ করে প্রসেসিং ইউনিট এর মাধ্যমে ইনপুট এর তথ্য প্রক্রিয়া করে তা আউটপুটে প্রদর্শন করে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য মেমোরি তে জমা রাখে ।

Internet কি ?  

উত্তরঃ Internet শব্দটি দুইটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । Inter Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যার অর্থ হল নেটওয়ার্কের মধ্যে , অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থিত নেটওয়ার্ক ডিভাইস সমূহের মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায় ।

Global Village বিশ্ব গ্রাম কি ?

উত্তরঃ Global Village যার বাংলা অর্থ হল বিশ্ব গ্রাম। সহজভাবে বলতে গেলে একটি গ্রামের মানুষ যেমন খুব সহজেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা বিশ্বের মানুষের সাথে খুব সহজে তথ্য উপাত্ত আদান প্রদান করা যায় ।

Global Village বিশ্ব গ্রাম এর সুবিধা কি কি ?  

উত্তরঃ Global Village বিশ্ব গ্রামের সুবিধাগুলো হল

  • সারা পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় এসেছে ।
  • জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে ।
  • সব তথ্য উপাত্ত সহজলভ্য হয়েছে ।
  • ঘরে বসে অনেক সেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে ।
  • কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে ।

Global Village বিশ্ব গ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদান গুলো কি কি ?

উত্তরঃ Global Village বিশ্ব গ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানগুলো হলঃ

  • হার্ডওয়্যার
  • সফটওয়্যার
  • ইন্টারনেট
  • তথ্য
  • মানুষের দক্ষতা

E-mail  ইমেইল কি ?

উত্তরঃ E-mail  ইমেইল হল Electronic Mail । ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কোন লেখা, ছবি, ভিডিও গ্রহণ ও প্রেরণ করার ব্যবস্থাকে E-mail  ইমেইল বলে ।

Teleconferencing টেলিকনফারেন্সিং কি ?

উত্তরঃ টেলিযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে Teleconferencing টেলিকনফারেন্সিং বলে

Virtual Reality ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে ?

উত্তরঃ Virtual Reality ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হল Computer নিয়ন্ত্রিত একটি পদ্ধতি যেখানে মডেলিং ও অনুকরনবিদ্যার প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ ৩ ডি বা ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করা ।

Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ?

উত্তরঃ  Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মানুষের মত চিন্তা ভাবনা করে কম্পিউটার ও ঠিক সেভাবেই চিন্তা ভাবনা করে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পদ্ধতিকে বলে Artificial Intelligence কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।

Robotics রোবটিক্স কি ?

উত্তরঃ Robotics রোবটিক্স শব্দটি  Robot থেকে এসেছে । Robot হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন একটি যন্ত্র যা ইনপুট থেকে তথ্য নিয়ে নিজে নিজে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে । আর এর গঠন, কার্যাবলী এবং তৈরি প্রক্রিয়া যেখানে আলোচনা করা হয় তাকে  Robotics রোবটিক্স বলে ।

Cryosurgery  ক্রায়োসার্জারি কি ? 

উত্তরঃ Cryosurgery  ক্রায়োসার্জারি হল এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি যার সাহায্যে অধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা । কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, আর্গন, ইথাইল ক্লোরাইড ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় ।

Biometrics বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি কি ?

উত্তরঃ  গ্রীক শব্দ “Bio” Life and “Metric” to Measure থেকে উৎপত্তি হয়েছে । অর্থাৎ Biometrics বায়োমেট্রিক্স হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন প্রাণীর দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ।

Biometrics বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি ?

উত্তরঃ দেহের গঠন সম্পর্কিত পদ্ধতি

  • ফিঙ্গার প্রিন্ট
  • হ্যান্ড জিওমেট্রি
  • আইরিস এবং রেটিনা ক্যান
  • ফেইস রিকোগনিশন
  • ডিএনএ

আচরণগত পদ্ধতি            

  • ভয়েস রিকোগনিশন
  • সিগনেচার ভেরিফিকেশন
  • টাইপিং কি স্ট্রোক

Genetic Engineering কি ?

উত্তরঃ বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোন প্রাণীর জিনোমকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকে  Genetic Engineering জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে ।

Nano Technology কি ?

উত্তরঃ Nano Technology হল আণবিক বা পারমাণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুনভাবে কাজে লাগানোর যে প্রযুক্তি তাকে Nano Technology বলে ।

রোবটিক্স এর গুরুত্ব আলোচনা কর ?

বিভিন্ন শিল্প কারখানার জিনিসপত্র উঠানামা ও স্থাপনের জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়

কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, প্যাকিং এবং জিনিসপত্র পরিবহণের জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়

যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযান চালানোর জন্য ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে যাকে ড্রোণ বলে ।

সুক্ষ ইলেকট্রনিক্স কাজে রোবট ব্যবহার করা হয় যেমন- আইসি, মাদারবোর্ড তৈরিতে, পিসিবি বোর্ড তৈরিতে

ক্রায়োসার্জারি সম্পর্কে আলোচনা কর ?

  ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয় । খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে প্রাচীন মিশরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিলো বলে ধরনা পাওয়া যায় । নেপোলিয়নের বিখ্যাত শাস্ত্রচিকিৎসক ডমিনিক জ্যা ল্যারি অঙ্গছেদনের কাজে শীতল তাপমাত্রা ব্যবহার করতেন । ১৯০৭ সালে আমেরিকায় ১৫ জন মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায় । শিকাগোর চিকিৎসক উইলিয়াম পসি ক্রায়োসার্জারিতে তরল কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করেন । ১৯২০ সালের দিকে ক্রায়োসার্জারিতে তরল অক্সিজেন ব্যবহার শুরু হয় । ১৯৫০ সালে ডাঃ রে এলিংটন ক্রায়োসার্জারিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করেন । বর্তমানে তরল নাইট্রোজেন ছাড়াও আর্গন, ইথাইল ক্লোরাইড, ফ্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন ব্যবহার করা হয় । ক্রায়োসার্জারিতে টিউমার টিস্যু তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে – ১২০ থেকে – ১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিয়ে আশা হয় । তারপর একটি সুচের মাধ্যমে টিউমারের ভিতরে দ্রুতগতির আর্গন গ্যাস চালনা করা হয় । ক্রায়োসার্জারিতে টিউমার টিস্যুর তাপামাত্রা বাড়ানো ও কমানো হয় এবং বরফখণ্ডের আকার নিয়ন্ত্রণ করা হয় । তাপমাত্রা হ্রাস বৃদ্ধি ততক্ষণ চলতে থাকে যতক্ষন না পুরো টিউমার ও তার আশপাশের টিস্যু ৫-১০ মি. মি. পুরো বরফ না জমে । বড় ক্রায়োসার্জারিতে একাধিক সুচ ব্যবহার করা হয় । ত্বকের টিউমার, তিল, আচিল ও ত্বকের ছোট ছোট ক্যান্সার ইত্যাদির চিকিৎসার জন্য ক্রায়োসার্জারি ব্যবহার করা হয় । এছাড়াও যকৃত ক্যান্সার, বৃক্ক ক্যান্সার, প্রটেসট ক্যান্সার, ফুস্ফুস ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, পাইলস এর চিকিৎসায় ক্রায়োসার্জারি ব্যবহার করা হয় ।      

মহাকাশ গবেষণায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার লিখ ?

১৯৫৭ সাল থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রোবোটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌরজগত সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে । রোবোটিক মহাকাশযান চাদ,শুক্রগ্রহ, মঙ্গলগ্রহ, এবং অনেক তারকা নক্ষত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে । কক্ষপথীয় উপগ্রহগুলো মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে যেমন – বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন, আবহাওয়ার তারতম্য, ঝড় বৃষ্টির খবর, কোন অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন তাও জানতে পারা যায় । এছাড়াও ভু মণ্ডলের খনিজ পদার্থ সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান করার কাজও করছে । স্যাটেলাইট ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কণ্ঠ, ছবি, তথ্য উপাত্ত পাঠাতে পারি । আকাশ ব্যবস্থা, নৌ ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি এর ব্যবহার হয়ে আসছে ।  

উৎপাদন ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার লিখ ?

বর্তমানে উৎপাদন ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য । উৎপাদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে উৎপাদন, পরিবহন,বিপনন সহ সকল ধাপেই আইসিটির সাহায্য নিতে হয় । আধুনিক সাপ্লাই সিস্টেম এ আইসিটির ব্যবহার উৎপাদন খরচ অনেক কমেছে । তাছাড়া উৎপাদন ব্যবস্থায় প্রোগ্রামেবল লজিক সার্কিট পিএলসি এর ব্যবহার করার ফলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পন্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে । কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ড্রাফটিং, ডিজাইন ও সিমুলেশনের কাজ সহজে ও সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে । কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং সফটওয়্যার ব্যবহার পরে পণ্যের আকর্ষণীয় ডিজাইন করা সম্ভব হচ্ছে । যার ফলে অধিক ভোক্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে । পণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ, গুনাগুণ পরীক্ষা, মুল্য নির্ধারণ ও কম্পিউটার সফটওয়্যারে করা হচ্ছে ।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আইসিটির ব্যবহার লিখ ?

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আইসিটির ব্যবহার এক অনন্য অবস্থায় নিয়ে গেছে । এখন প্রতিরক্ষায় সব স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার হয় যার ফলে অন্য কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া শুধুমাত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে  আঘাত করতে পারে। এসব অস্ত্রকে বলে স্মার্ট যন্ত্র । আইসিটি ব্যবহার করে আকাশ থেকে আকাশে ভূমি থেকে ভুমিতে এবং জল থেকে জলে অবস্থিত প্রতিপক্ষের বস্তুতে আঘাত হানতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করে শত্রুর মোকাবেলা করা হয় । ড্রোণ নামক এক ধরণের আকাশযান ব্যবহার করে দূর থেকে শত্রুর ঘাটিতে কোন ধরণের ভুল ছাড়াই আঘাত হানতে সক্ষম । উন্নত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার ফলে প্রতিপক্ষের অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে । আইসিটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফলে সহজেই শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে  এবং আগাম সংকেত প্রাপ্তির ফলে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে ।     

বায়োম্যাট্রিক্স পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর ?    

গ্রীক শব্দ Bio (Life) ও Metric (Measure) থেকে উৎপত্তি হয়েছে বায়োমেট্রিক্স Biometrics । বায়োমেট্রিক্স হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করা হয় । কম্পিউটার বিজ্ঞানে কোন ব্যক্তিকে আলাদাভাবে সনাক্তকরণ এবং কোন বিশেষ সিস্টেম ও জায়গায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তি এই সিস্টেম ও জায়গায় প্রবেশ করতে পারে ।

বায়োমেট্রিক্সের প্রকারভেদ

দেহের গঠন এবং আচরণগত বিশিষ্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার হতে পারে –

দেহের গঠন ও শরীরবৃত্তিয় বিশিষ্টের পদ্ধতি

  • ফিঙ্গার প্রিন্ট
  • হ্যান্ড জিওমিট্রি
  • আইরিশ এবং রেটিনা ক্যান
  • ডিএনএ

আচরণগত বিশিষ্টের পদ্ধতি

  • ভয়েস রিকগনিশন
  • সিগনেচার ভেরিফিকেশন
  • টাইপিং কি স্ট্রোক

বায়োমেট্রিক্স এর কাজ

বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি সাধারণত কোন ব্যক্তি শনাক্তকরণ ও সত্যাসত্য নির্ধারণের কাজে ব্যবহার করা হয় ।

ব্যক্তি শনাক্তকরণঃ

প্রথমে ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে তারপর সেই তথ্য ডাটাবেস এ সংরক্ষণ করা হয় । পরবর্তীতে শুধুমাত্র এই ব্যক্তির তথ্য শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই বের করা সম্ভব । যা সাধারণ পদ্ধতিতে অনেক সময় সাপেক্ষ ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে ।

ব্যক্তির সত্যাসত্য নির্ধারণঃ যেহেতু পৃথিবীর সকল মানুষের চেহেরা আঙুলের চাপ আলাদা আলাদা তাই এক জনের সাথে আরেকজনের বায়োমেট্রিক্স মিলবে না । তাই ব্যক্তির তথ্যের সত্যাসত্য নির্ধারণ করা অনেক সহজ এবং নির্ভুলভাবে করা যায় বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে ।

ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারঃ মানুষের হাতের আঙুলের চাপ নেয়ার জন্য এবং পরবর্তীতে সেই চাপ ব্যবহার করে সিস্টেম এ এক্সেস নেয়ার যে যন্ত্র তাকে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার বলে ।

ফেইস রিকগনিশনঃ ফেইস রিকগনিশন হচ্ছে এমন এক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা পূর্বে থেকে ডাটাবেস এ সংরক্ষিত মানুষের ফেইস এর গঠন ও আকৃতি রিড করে এবং সনাক্ত করে । যদি মিলে যায় তাহলে সিস্টেম এ এক্সেস পাবে না হলে এক্সেস পাবে না ।

হ্যান্ড জিওমিট্রিঃ হ্যান্ড জিওমিট্রি হল এমন এক ধরণের পদ্ধতি যা মানুষের হাতের ছাপ ও জ্যামিতিক সাইজ নির্ণয় করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারে । একটি হ্যান্ড জিওমিট্রি রিডার একসাথে ৩১০০০ এর বেশি পয়েন্ট ৯০ টির বেশি পরমাপ করতে পারে । এটি একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি সাধারণত উপস্থিতি নির্ণয়, বিভিন্ন বিল্ডিং এর প্রবেশদ্বার, লাইব্রেরী, বিভিন্ন ডাটা সেন্টার এ এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ।

বায়োইনফরমেটিক্স কি ? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার লিখ ?

বায়োইনফরমেটিক্স একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র যা জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত ডেটার সংরক্ষণ, আহরণ, সাজানো এবং বিশ্লেষণ ইত্যাদি কাজের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির আবিষ্কার এবং উন্নয়ন করে । জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগই হল বায়োইনফরমেটিক্স । বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল জৈবিক প্রক্রিয়ার অনুধাবন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে অন্যান্য পন্থার পরিবর্তে কম্পিউটারের সাহায্যে এই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে ইহার উন্নয়ন এবং প্রয়োগ ঘটানো । প্যাটার্ন রিকগনিশন, ডেটা মাইনিং, মেশিন ল্যাংগুয়েজ এলগরিদম, ভিজ্যুয়ালাইজেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হচ্ছে । বিভিন্ন গবেষণার কাজে ও বায়োইনফরমেটিক্স ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে । উল্লেখযোগ্য গবেষণা গুলির মধ্যে রয়েছে সিকুয়েন্স এলাইমেন্ট, ডিএনএ এনালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং, জিনোম সমাগম, ড্রাগ নকশা, ড্রাগ আবিস্কার, প্রোটিনের গঠন, প্রোটিনের ভবিষ্যৎ গঠন, জিন সূত্রের ভবিষ্যৎ, প্রোটিন প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া, জিনোমের ব্যাপ্তি এবং বিবর্তনের মডেলিং ইত্যাদি । বায়োইনফরমেটিক্স সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাজারে অনেক ওপেন সোর্স সফটওয়্যার রয়েছে যেমনঃ BioConductor, BioPerl, BioPython,BioJava, BioRuby, BiClipse, EMBOSS, Taverna, Workbench, UGENE ইত্যাদি ।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে আলোচনা ও এর ব্যবহার লিখ?

বায়ো টেকনোলজির মাধ্যমে কোন প্রাণীর জিনোমকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেনেটিক মডিফিকেশন বলে। জিনোম হল কোন জীবের বংশগত বৈশিষ্টের তথ্য। প্রাণী  ও উদ্ভিদ জীবের ক্ষুদ্রতম একক হল কোষ। কোষের প্রাণকেন্দ্রকে বলে নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের ভিতরে কিছু পেঁচানো বস্তু থাকে তাদের বলে ক্রোমোজোম। ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকে ডিএনএ। ডিএনএ এর অনেক অংশ থাকে। এর এক একটি অংশ কে বলে জিন। এসব জিনই জীবের বিভিন্ন বিশিষ্ট বহন করে। মানুষের শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে, বিড়ালের শরীরে ৩৪ জোড়া আর মশার শরীরে ৬ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর মধ্যে একজোড়া ক্রোমোজোম বংশ গতির বাহক।

ব্যবহারঃ

চিকিৎসা, গবেষণা, শিল্প এবং কৃষিসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ইনসুলিন, হিউম্যান গ্রোথ হরমোন, বন্ধ্যান্ত চিকিৎসার জন্য, হিউম্যান এল্বুমিন, ভ্যাকসিন এবং অনেক প্রকার ঔষধ উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাণীর দ্বারা জেনেটিক পরিবর্তন দ্বারা মানবদেহের বিভিন্ন রোগের গবেষণা চালানো হয়। কৃষিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহারের লক্ষ্য চারটি তা হল

  • পরিবেশের বিভিন্ন ধরণের হুমকি থেকে শস্যকে রক্ষা করা
  • শস্য থেকে সম্পূর্ণ নতুন উপাদান উৎপাদন করা
  • শস্যের গুনগত মান বৃদ্ধি করা
  • শস্যের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জীবন পরিবর্তনের মূলনীতি সংক্ষেপে বর্ণনা কর ?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জীবন পরিবর্তনের মূলনীতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল

  • সর্বপ্রথম যেই জিনটি দ্বারা একটি জীবের বৈশিষ্ট পরিবর্তন করা হবে তাকে আলাদা করা ।
  • একটি ডিএনএ এর জিন অন্য একটি জিনে প্রতিস্থাপন করা হয় দুইটি উপায়ে । এক – কোন নিয়ম না মেনে দৈব্যচয়নভাবে জিনটিতে প্রতিস্থাপন করা হয় । দুই – ডিএনএ টি একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় । তাপ ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে একটি ডিএনএ কে একটি ব্যাকটেরিয়া কোষে ঢোকানো যায় ।
  • বিভিন্ন প্রাণীতে ডিএনএ সমূহ সাধারণত মাইক্রো ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রাণী কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করানো হয় ।
  • যেই ডিএনএ নতুন জিনকে তৈরি করবে তাকে একটি ব্যাকটেরিয়াতে রুপান্তরিত করা হয় । অতপর সেই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের মধ্যে এক ধরণের টিউমার তৈরি করবে এবং টা থেকে প্রাক্রিতিকভাবে নতুন জিএমও তৈরি হবে ।    

ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে আলোচনা  কর ?

ন্যানোপ্রযুক্তি হল পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।

ন্যানোমিটার হল দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি একক। এক ন্যানোমিটার হচ্ছে ১মিটারের একশত কোটি ভাগের একভাগ। ১ন্যানোমিটার = ১০৯মিটার। ১ইঞ্চি = ২৫৪০০০০০ ন্যানোমিটার।

ন্যানো টেকনোলজির এর ব্যবহার

রাসায়নিক শিল্পঃ সানস্ক্রিন এ ব্যবহৃত টিটানিয়াম ডাই অক্সাইড তৈরির কাজে, বিভিন্ন জিনিসের প্রলেপ তৈরির কাজে, পানি বিশুদ্ধকরনের কাজে ।

খাদ্যশিল্পঃ খাদ্যজাত দ্রব্য প্যাকেজিং এর সিলভার তৈরির কাজে, খাদ্যে স্বাদ তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরিতে ।

  চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ ঔষধ তৈরির আনবিক গঠনে যাতে রোগাক্রান্ত সেলে সরাসরি ঔষধ প্রয়োগ করা যায় ।

ইলেকট্রোনিক্স শিল্পেঃ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ খরচ, ওজন এবং আকৃতি কমিয়ে কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ।

জ্বালানি তৈরিতেঃ হাইড্রোজেন আয়ন এর জন্য ফুয়েল সেল তৈরিতে ।

ব্যাটারি শিল্পে সৌর কোষ তৈরিতেঃ প্রচলিত সৌর কোষের চাইতে আরও অধিক সাশ্রয়ী মূল্যের ন্যানোটেক সৌর কোষ তৈরিতে এবং বিভিন্ন প্রকার ব্যাটারি তৈরিতে ।

খেলাধুলা ও ক্রিয়া সামগ্রী তৈরিতেঃ খেলাধুলার সামগ্রী যেমনঃ টেনিস বলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য, বাতাসে গলফ বলে পজিশন ঠিক রাখার জন্য ।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরিতেঃ ভিডিও গেমস কনসোল এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের মেমোরি, গতি,দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন হার্ডওয়্যার তৈরিতে ।  

কম্পিউটার ব্যবহারে নৈতিকতা আলোচনা কর ?

নৈতিকতা হল মানুষের কাজ কর্ম আচার ব্যবহারের সেই মূলনীতি যার উপর ভিত্তি করে মানুষ একটি কাজের ভাল বা মন্দ দিক বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে কিছু নীতি নৈতিকতা মেনে চলা জরুরী সেগুলো হল –

  • অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা
  • অন্য ব্যক্তির কম্পিউটারের কাজের উপর হস্তক্ষেপ না করা
  • অন্য ব্যক্তির ফাইল থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ না করা
  • চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা
  • মিথ্যা সাক্ষ্য বহনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা
  • যেসব সফটওয়্যার এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়নি সেগুলো ব্যবহার না করা বা কপি না করা
  • অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার এর রিসোর্স ব্যবহার না করা
  • অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফলকে আত্মসাৎ না করা
  • কোন প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তার কি প্রভাব পরবে টা চিন্তা করা
  • কম্পিউটার কে ঐ সব উপায়ে ব্যবহার করা যেন টা বিচার বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ।

সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা কর ?

আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম । টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সরাসরি প্রভাব লক্ষণীয় ।সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবকে দুইভাগে ভাগ করা যায় এক ইতিবাচক প্রভাব দুই নেতিবাচক প্রভাব ।

ইতিবাচক প্রভাব গুলো হল –

  • সহজে তথ্য প্রাপ্তি
  • পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় চিন্তা করা সম্ভব কারন ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন খবর পাওয়া যায় ।
  • তথ্যের খরচ কমে যায় ব্যবস্থপনার ব্যয় সংকোচন হয় ।
  • জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়
  • দক্ষতা ও কাজের গতি বৃদ্ধি
  • মনুষ্য শক্তির অপচয় রোধ হয় মানব সম্পদ উন্নয়ন সহজ হয়
  • ই – কমার্স ও ই বিজনেসের মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ।
  • ই গভারনেন্স চালুর মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয়
  • মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা পাওয়া সহজতর হয়
  • শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণ করা বা প্রদান করা সহজতর হয়   

সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক দিকসমূহ –

  • অশ্লীলতা – টেলিভিশন ও ইন্টারনেট এ অনেক অশ্লীল ও নগ্ন প্রচারণার ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্রের অবনতি হচ্ছে । বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের বিপথে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে।
  • গোপনীয়তা – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলএ মানুষের অনেক গোপন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে যা আদৌ কাম্য নয় ।
  • ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সর্বত্রই অটোমেশনের ছোয়া লেগেছে ফলে অনেক ক্ষেত্রে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
  • শারীরিক সমস্যা – অধিক পরিমানে কম্পিউটার,টেলিভিশন, স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ফলে শরীরের নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে ।
  • সামাজিক সমস্যা – বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে সমাজে অশান্তি বাড়ছে । শিশু কিশোরদের মধ্যে অনলাইন গেম খেলার প্রবনতা বাড়ছে । অবাধ ইন্টারনেট এর ব্যবহারের ফলে অনেক অশ্লীল কাজে মানুষ জড়িয়ে পরছে ।

সর্বপরি আমরা বলতে পারি তথ্য অ যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ যদি আমরা সেটাকে সঠিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবহার করি ।   



WATCH ON YOUTUBE

অধ্যায় – ২

( কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য ?

ক। অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য নিজস্ব হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ।

খ। যেকোন সময় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় ।

গ। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় ।

ঘ। উপরের সবগুলোই ।

নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা প্রদান করে ?

ক। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ খ। গুগল ক্রোম

গ। গুগল টক ঘ। ড্রপ বক্স

নিচের কোনটি ডাটা কমিউনিকেশনের উপাদান ?

ক। উৎস খ। গন্তব্য

গ। কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম ঘ। উপরের সবগুলো

নিচের কোন ব্যান্ডউইথটি ব্রডব্যান্ড শ্রেনির ? 

ক। ১ মেগাবিট পার সেকেন্ড খ। ৯৬০০ বিপিএস

গ। ৪৫ থেকে ৩৬০ বিপিএস ঘ। উপরের কোনটি নয়

ডাটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় কোন সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় –

ক। বিট সিনক্রোনাইজেশন খ। বিট এসিনক্রোনাইজেশন

গ। এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ঘ। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন

যে ডাটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডাটা গ্রাহকের কাছে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে বলে –

ক। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন খ। এসিনক্রোনাইজেশন ট্রান্সমিশন

গ। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন ঘ। উপরের কোনটি নয় ।

মোবাইল ফোনে কথা বলার কোন ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ?

ক। সিমপ্লেক্স Simplex খ। হাফ ডুপ্লেক্স  Half Duplex

গ। ফুল ডুপ্লেক্স Full Duplex ঘ। উপরের কোনটি নয়

কোন ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবস্থায় একটি প্রেরক থেকে শুধুমাত্র একটি প্রাপকেই ডেটা গ্রহণ করতে পারে ?

ক। ইউনিকাস্ট Unicast খ। ব্রডকাস্ট Broadcast

গ। মাল্টিকাস্ট Multicast ঘ। উপরের কোনটি নয়

নিচের কোনটি ফাইবার অপটিকের অংশ ?

ক। কোর খ। ক্লাডিং

গ। জ্যাকেট ঘ। উপরের সবগুলো

নিচের কোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে বলা হয় রেডিও ওয়েভ ? 

ক। ১০ হার্টজ থেকে ১ কিলোহার্টজের মধ্যে  সীমিত

খ। ১০ কিলোহার্টজের থেকে ১ গিগাহার্টজের মধ্যে সীমিত

গ। ১  কিলোহার্টজের থেকে ১০ কিলোহার্টজের মধ্যে সীমিত

ঘ। উপরের কোনটি নয়

নিচের কোন যোগাযোগ প্রযুক্তিটি বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চলে দ্রুতগতির তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে ?

ক। ওয়াই ফাই Wi-Fi খ। ব্লু টুথ Bluetooth

গ। ওয়াই ম্যাক্স Wi-Max ঘ। উপরের সবগুলো

ওয়াই ম্যাক্স প্রযুক্তিতে কোনটি করা যায় না  ?

ক। ভোক্তাকে অধিক ব্যান্ডউইথ প্রদান খ। ম্যান প্রতিষ্ঠা

গ। সবৃত্র নেটওয়ার্ক কভারেজ ঘ। অধিক ব্যান্ডউইথ ও কভারেজ প্রদান

রেডিও এবং টেলিভিশন সম্প্রচার কোন ধরণের কমিউনিকেশন মোড ?

ক। সিমপ্লেক্স ও ইউনিকাস্ট খ। হাফডুপ্লেক্স এবং ইউনিকাস্ট

গ। সিমপ্লেক্স এবং ব্রডকাস্ট ঘ। ফুলডুপ্লেক্স এবং ব্রডকাস্ট

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড কি ?

কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক কে যুক্ত করার জন্য যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বলে ।

ব্লুটুথ কাকে বলে ?

 ব্লুটুথ হল তারবিহীন পার্সোনাল নেটওয়ার্ক যা স্বল্প দূরত্বে তথ্য উপাত্ত আদান প্রদানে ব্যবহার করা হয় । এর দূরত্ব ১০ মিটার থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে ।

ওয়াই ম্যাক্স –  কাকে বলে ?

WiMax এর পূর্ণ অর্থ হল World Wide Interoperability for Microwave Access । ওয়াই ম্যাক্স হচ্ছে একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যা বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চলে দ্রুত গতির তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে ।

ওয়াই ফাই Wi Fi কাকে বলে ?

Wi Fi এর পূর্ণ অর্থ হল – Wireless Fidelity । এটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে যে কোন ইন্টারনেট ডিভাইসকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা ।

হটস্পট কাকে বলে ?

হটস্পট হল একটি তারবিহীন ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক যা স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোকে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় ।

সিম – সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল কাকে বলে ?

সিম এক ধরনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট যা মোবাইল ব্যবহারকারীকে নিরাপদভাবে তথ্য সংরক্ষনের সুবিধা দিয়ে থাকে । সিম ব্যবহার করে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট মাধ্যম ব্যবহার করে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ।

হাব কাকে বলে ?

হাব এক ধরণের নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা তার আওতাধীন নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলিকে একত্রে সংযুক্ত করে তাদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহার করা হয় ।

সুইচ কাকে বলে ?

সুইচ ও হাবের মত কাজ করে পার্থক্য হল সুইচ বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইস থেকে আগত সিগন্যালকে নির্দিষ্ট প্রাপকের নিকট পাঠাতে পারে ।

রাউটার কাকে বলে ?

রাউটার শব্দটি রুট থেকে এসেছে যার অর্থ হল রাস্তা । রাউটার হল এক ধরণের নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা প্রেরকের তথ্য উপাত্ত সেগমেন্ট আকারে যত কম পথ অতিক্রম করে প্রাপকের কাছে পাঠানো যায় ।

গেটওয়ে কাকে বলে ?

প্রেরকের তথ্য উপাত্ত নেটওয়ার্ক এর নির্দিষ্ট প্রটোকল ব্যবহার করে যে পথ দিয়ে প্রাপকের নিকট যায় তাকে গেটওয়ে বলে ।

রিপিটার কাকে বলে ?

নেটওয়ার্ক এর পরিধি অনেক বড় হলে তথ্য প্রেরন ও গ্রহণের সময় ও ডাটা লস বেশি হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে রিপিটার ব্যবহার করা হয় । এতে করে সিগন্যাল পুনরায় শক্তিশালী হয় ।

ব্রিজ কাকে বলে ?

নেটওয়ার্ক এর ওএসআই মডেলের ডাটা লিং লেয়ারে একাধিক নেটওয়ার্ক কে যুক্ত করার জন্য ব্রিজ ব্যবহার করা হয় । ব্রিজ আসলে সুইচের মত কাজ করে ।

ডেটা কমিউনিকেশন কাকে বলে ?

কোন ডেটাকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্য সবার নিকট স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন ।

ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান বা গুলো কি কি বর্ণনা কর ?

ডেটা কমিউনুকেশনের উপাদান গুলো হল –

  • উৎস
  • প্রেরক
  • কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম
  • প্রাপক
  • গন্তব্য

উৎসঃ যে ডিভাইস থেকে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে । যেমনঃ কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি ।

প্রেরকঃ উৎস থেকে ডেটা নিয়ে প্রেরক যন্ত্র কমিউনিকেশন মাধ্যমে পাঠায় । যেমনঃ মোডেম ।

কমিউনিকেশন মাধ্যমঃ যার মধ্য দিয়ে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তাকে কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম বলে । মাধ্যম হিসেবে তার, পাবলিক টেলিফোন লাইন, রেডিওওয়েভ, স্যাটেলাইট ইত্যাদি ।

প্রাপকঃ কমিউনিকেশনের মাধ্যমে ডেটা যার কাছে পাঠানো হয় তাকে প্রাপক বলে । যেমনঃ মোডেম প্রাপক যন্ত্র হিসেবে কাজ করে ।

গন্তব্যঃ সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে ব্যবহৃত সার্ভার, পার্সোনাল কম্পিউটার ।

ব্যান্ডউইডথ বা ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীড কাকে বলে ? কমিউনিকেশনের গতিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ?

এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ড উইডথ বলে । এই ব্যান্ডউইথ কে বিট পার সেকেন্ড এ হিসেব করা হয় ।

ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় –

  • ন্যারো ব্যান্ড
  • ভয়েস ব্যান্ড
  • ব্রড ব্যান্ড

ন্যারো ব্যান্ডঃ সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে, এ ডেটা স্থানান্তর গতিকে ন্যারো ব্যান্ড বলে । টেলিগ্রাফিতে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহার করা হয় ।

ভয়েস ব্যান্ডঃ এই ব্যান্ডের ডেটা গতি ৯৬০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে । সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে । এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারের ডেটা ট্রান্সমিশন এই ব্যান্ডে হয়ে থাকে ।

ব্রড ব্যান্ডঃ ব্রড ব্যান্ড উচ্চগতি সম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর ব্যান্ড উইথ যার গতি কমপক্ষে ১ মেগা বিট পার সেকেন্ড থেকে অত্যন্ত উচ্চ গতি যেমন ১ গিগা বিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে । সাধারণত কো এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এই ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহার করা হয় ।

ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কত প্রকার কি কি ?  

ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি তিন প্রকার যথা –

১. এসিক্রোনাস ট্রান্সমিশন

২. সিক্রোনাস ট্রান্সমিশন

৩. আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন

সিনক্রোনাস ও এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের মধ্যে পার্থক্য কি ?

এসিনক্রোনাসসিনক্রোনাস
১। ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন১। ক্যারেক্টার সমুহকে ব্লক আকারে প্রেরন করা হয়
২। স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন নেই২। স্টোরেজের প্রয়োজন হয়
৩। ক্যারেক্টার এর মাঝের বিরতি সমান হয় না৩। প্রতিটি ব্লকের মাঝের বিরতি সমান
৪। ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম৪। ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি
৫। সময় বেশি লাগে৫। সময় কম লাগে
৬। স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন হয়৬। স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন হয় না

সিনক্রোনাস ও এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা অসুবিধাগুলো কি কি ?

এসিনক্রোনাসসিনক্রোনাস
ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কমস্টোরেজের প্রয়োজন হয়
সময় বেশি লাগেতুলনামুলক ব্যয়বহুল 

সিনক্রোনাস ও এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর ?

এসিনক্রোনাসসিনক্রোনাস
১। ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন১। ক্যারেক্টার সমুহকে ব্লক আকারে প্রেরন করা হয়
২। স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন নেই২। স্টোরেজের প্রয়োজন হয়
৩। ক্যারেক্টার এর মাঝের বিরতি সমান হয় না৩। প্রতিটি ব্লকের মাঝের বিরতি সমান
৪। ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম৪। ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি
৫। সময় বেশি লাগে৫। সময় কম লাগে
৬। স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন হয়৬। স্টার্ট ও স্টপ বিটের প্রয়োজন হয় না

হাফ ডুপ্লেক্স ও ফুল ডুপ্লেক্স মোডের মধ্যে পার্থক্য কি ?

হাফ ডুপ্লেক্সফুল ডুপ্লেক্স
একই সময়ে ডেটা প্রেরন ও গ্রহন সম্ভব নয়একই সময়ে ডেটা প্রেরন ও গ্রহন সম্ভব
সময় বেশি লাগেসময় কম লাগে
একমুখী ডাটা প্রেরন ও গ্রহন ব্যবস্থাদ্বিমুখী ডেটা প্রেরন ও গ্রহন ব্যবস্থা
যেমনঃ ওয়াকি টকিযেমনঃ মোবাইল ফোন

ডেটা কমিউনিকেশন মিডিয়াম/ মোড  কি ? বিভিন্ন প্রকার মিডিয়ামের / মোডের নাম লিখ ?

উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলে ।

ডাটা প্রবাহের দিক থেকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড তিন প্রকার যথা

সিমপ্লেক্স – কেবলমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড কে সিমপ্লেক্স মোড বলে । এই পদ্ধতিতে ডাটা শুধুমাত্র যাকে পাঠানো হয় সেই পায় সে কোন ফিডব্যাক দিতে পারে না । যেমন – রেডিও , টেলিভিশন ইত্যাদি । 

হাফ ডুপ্লেক্স – এই পদ্ধতিতে ডাটা গ্রহন ও প্রেরণের সুযোগ থাকে কিন্তু একই সময় একই সাথে ডাটা গ্রহন ও প্রেরন সম্ভব নয় । একজনের ডাটা প্রেরন সম্পন্ন হওয়ার পর অন্য জন সেই ডাটার উত্তর প্রদান করতে পারে । যেমন – ওয়াকি টকি ।

ফুল ডুপ্লেক্স  – ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে গ্রাহক ও প্রেরক একই সাথে ডাটা প্রেরন ও গ্রহন করতে পারে । যেমন – সেলুলার মোবাইল ফোন , টেলিফোন ইত্যাদি ।

প্রাপকের সংখ্যা ও ডাটা গ্রহনের অধিকারের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –

ইউনিকাস্ট – ইউনিকাস্ট ব্যবস্থায় একটি প্রেরক থেকে শুধুমাত্র একটি প্রাপক ডাটা গ্রহন করতে পারে ।

ব্রডকাস্ট – এই ব্যবস্থায় কন একটি নোড থেকে ডাটা প্রেরন করলে সেই ডাটা ওই নেটওয়ার্কের অধিনস্ত সকল নোড ই গ্রহন করতে পারে । 

মাল্টিকাস্ট – মাল্টিকাস্ট ব্যবস্থা ব্রডকাস্টের মতই কাজ করে পার্থক্য শুধু যে নোড থেকে ডাটা প্রেরণ করা হয় শুধুমাত্র ওই পরিবারভুক্ত নোড ডাটা গ্রহন করতে পারে ।   

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সুবিধা অসুবিধাসমূহ লিখ ?

অপটিক্যাল ফাইবার হল ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরণের আঁশ যা আলো নিবন্ধকরন ও পরিবহনে সক্ষম । অপটিক্যাল ফাইবারের তিনটি অংশ কোর, ক্লাডিং, জ্যাকেট ।

কোর – ভিতরের ডাই ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে ।

ক্লাডিং – কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই ইলেকট্রিক আবরণ কে ক্লাডিং বলে ।

জ্যাকেট – ক্লাডিং এর উপরের আবরণ কে জ্যাকেট বলে।

সুবিধা –

  • আলোর গতিতে ডাটা ট্রান্সফার হয় এবং অতি দ্রুতগতি সম্পন্ন
  • উচ্চ ব্যান্ড উইডথ
  • আকারে ছোট এবং ওজন কম
  • শক্তি অপচয় কম হয়
  • বৈদ্যুতিক চুম্বক এর প্রভাব থেকে মুক্ত
  • ডাটা সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
  • সঠিকভাবে ডাটা স্থানান্তর বা চলাচলের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক কন বাধা নেই ।

অসুবিধা –

  • অধিক বাঁকানো সম্ভব নয়
  • ব্যয়বহুল
  • দক্ষ জনবলের প্রয়োজন  

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি ?

দুই বা ততোধিক কম্পিউটার ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক রিলেটেড ডিভাইসের মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত আদান প্রদানের জন্য একে অন্যের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে ।

নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড কি ? এর কাজ বর্ণনা কর ?

কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক রিলেটেড ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য এক ধরণের ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় , এই ইন্টারফেস কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা এনআইসি বলে । এদেরকে ল্যান কার্ড ও বলা হয়ে থাকে । প্রত্যেকটি কার্ডে একটি ৪৮ বিটের ইউনিক ম্যাক আইডি থাকে । ল্যানে প্রত্যেকটি কার্ডে ঐ কম্পিউটারের আইপি এড্রেস বসানো হয় । যখন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিভাইস গুলো ঐ কম্পিউটারের ম্যাক এড্রেসের মাধ্যমে একে অন্যকে চিনতে পারে । এভাবে কম্পিউটার টু কম্পিউটার যোগাযোগ করে থাকে । 

ডেটা কমিউনিকেশন / ট্রান্সমিশন কি ? এর সম্পর্কে আলোচনা কর ?

কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক রিলেটেড ডিভাইস গুলোর মধ্যে তথ্য উপাত্ত আদান প্রদান করার প্রক্রিয়াকেই ডাটা কমিউনিকেশন বা ডাটা ট্রান্সমিশন বলে । ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানোর জন্য পাঁচটি উপাদানের প্রয়োজন হয় । যেমনঃ

সোর্স  / উৎসঃ যে ডিভাইস থেকে ডাটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে । যেমনঃ কম্পিউটার

প্রেরকঃ উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে কমিউনিকেশন চ্যানেলে পাঠানোর ব্যবস্থা কে প্রেরক বলে । যেমনঃ মোডেম

কমিউনিকেশন চ্যানেল / মাধ্যমঃ যা মধ্যে দিয়ে তথ্য উপাত্ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তাকে কমিউনিকেশিন চ্যানেল / মাধ্যম বলে । যেমনঃ তার, রেডিওওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট ইত্যাদি

প্রাপকঃ কমিউনিকেশন মাধ্যম ব্যবহার করে যার কাছে তথ্য উপাত্ত প্রেরন করা হয় তাকে প্রাপক বলে । যেমনঃ মোডেম । মোডেম এমন একটি ডিভাইস যা একই সাথে প্রেরক ও প্রাপকের কাজ করে । মোডেম একই সাথে এনালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে ও ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগ সিগন্যালে পরিনত করতে পারে ।

গন্তব্যঃ সর্বশেষে গন্তব্য হিসেবে সার্ভার , পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় ।

সোর্স                      প্রেরক                মাধ্যম                      প্রাপক                        গন্তব্য  

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড কি ? বিভিন্ন প্রকার ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড সম্পর্কে আলোচনা কর ?

এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক নেটওয়ার্ক ডিভাইস থেকে অন্য নেটওয়ার্ক ডিভাইসে ডাটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে । একে অন্যভাবে ব্যান্ডউইথ ও বলে । ব্যান্ডউইথ সাধারণত বিট পার সেকেন্ডে (বিপিএস)  হিসেব করা হয় । অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান বিট ট্রান্সফার হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বলে । ডাটা ট্রান্সফার স্পীড কে তিন ভাবে ভাগ করা যায় । যেমনঃ

ন্যারো ব্যান্ডঃ সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ বিপিএস পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সফার স্পীডকে ন্যারো ব্যান্ড বা সাব ভয়েস ব্যান্ড বলে । টেলিগ্রাফিতে এই ব্যান্ডের স্পীড ব্যবহার করা হয় ।

ভয়েস ব্যান্ডঃ সাধারণত ৩০০ থেকে ৯৬০০ বিপিএস পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সফার স্পীডকে ভয়েস ব্যান্ড বলে । টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডের ডাটা স্পীড ব্যবহার করা হয় । এছাড়াও কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফার এবং প্রিন্টার থেকে কম্পিউটারের ডাটা ট্রান্সফারে এই ব্যান্ডের স্পীড ব্যবহার করা হয় ।

ব্রডব্যান্ডঃ উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা ট্রান্সফার রেট ১ মেগাবিট পার সেকেন্ড থেকে শুরু করে ১ গিগাবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সফার স্পীড হয়ে থাকে । সাধারণত কো এক্সিয়াল ক্যাবল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও স্যাটেলাইট থেকে যে ডাটা ট্রান্সফার হয় তা এই ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে হয় ।  

ডেটা প্রেরণের চ্যানেল সম্পর্কে আলোচনা কর ? কো এক্সিয়াল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর ?

যে মাধ্যম ব্যবহার করে প্রেরক থেকে প্রাপক পর্যন্ত ডাটা ট্রান্সফার করা হয় তাকে মিডিয়াম বা চ্যানেল বলে ।

চ্যানেল দুই ধরনের হয় যথাঃ

১। গাইডেড মিডিয়াম

২। আন গাইডেড মিডিয়াম

গাইডেড মিডিয়ামঃ তারযুক্ত যোগাযোগ মাধ্যমকে  গাইডেড মিডিয়াম বলে ।যেমনঃ কো এক্সিয়াল ক্যাবল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, অপটিক্যাল ফাইবার ইত্যাদি ।

 আনগাইডেড মিডিয়ামঃ তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যমকে আনগাইডেড মিডিয়াম বলে । যেমনঃ মাইক্রোওয়েভ, রেডিও ওয়েভ, স্যাটেলাইট ইত্যাদি ।  

কো – এক্সিয়াল ক্যাবলঃ

দুটি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ও অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে এই তার তৈরি করা হয় । পরিবাহী হিসেবে সাধারণত তামার তার ব্যবহার করা হয় । দুইটি পরিবাহী পদার্থের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয় । উপরের পরিবাহী পদার্থটিকে প্লাস্টিকের জ্যাকেট দ্বারা ঢেকে রাখা হয় । এর ডাটা ট্রান্সফার রেট ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে । এই ক্যাবল বিএনসি কানেক্টর দ্বারা নেটওয়ার্কে সংযোগ করা হয় ।

সুবিধাঃ

  • এনালগ ও ডিজিটাল উভয় ডাটা ট্রান্সমিশনে এই ক্যাবল ব্যবহার করা হয় ।
  • এটি ফাইবার অপটিকের চেয়ে কম ব্যয়বহুল
  • সহজে বহনযোগ্য
  • টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চেয়ে বেশি দূরত্বে ডাটা ট্রান্সমিশন করা যায় ।

অসুবিধাঃ

  • টুইস্টেড পেয়ার অপেক্ষা বেশি ব্যয়বহুল
  • নেটওয়ার্ক ক্যাবল হিসেবে ব্যবহার কঠিন

ব্যবহারঃ টেলিভিশন , ডিশ ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ ব্যবহার করা হয় ।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলঃ

দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয় । পেচানো ক্যাবল কে পৃথক করার জন্য অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয় । চার জোড়া তার দিয়ে এই ক্যাবল তৈরি এবং প্রতিটি ক্যাবলের আলাদা আলাদা রং থাকে । রঙের বিন্যাস দেখে সংযোগ করা হয় । নেটওয়ার্কে সংযোগ করার জন্য আরজে ৪৫ কানেক্টর ব্যবহার করা হয় ।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল  দুই ধরণের হয়ে থাকে শিল্ডেড ও আন শিল্ডেড । সাধারণত ক্যাটাগরি ৫ ও ক্যাটাগরি ৬ আন শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা হয় । প্রকারভেদে টুইস্টেড পেয়ারের গতি ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে ।

সুবিধাঃ

  • এনালগ ও ডিজিটাল উভয় ডাটা ট্রান্সমিশনে এই ক্যাবল ব্যবহার করা হয় ।
  • কম দূরত্বে ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য অধিক উপযোগী
  • সহজেই স্থাপন করা যায়
  • টেলিফোন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এই ক্যাবল ব্যবহার করা হয়

অসুবিধাঃ

  • ট্রান্সমিশন লস বেশি
  • বাহিরের সিগন্যাল দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাই একুরেসি কম
  • গঠন পাতলা হওয়ার কারনে সহজে নষ্ট হয়ে যায় ।

মাইক্রোওয়েভঃ

ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের ৩০০ মেগা হার্জ থেকে ৩০০ গিগা হার্জ পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড মাইক্রোওয়েভ নামে পরিচিত । মূলত মাইক্রোওয়েভ এক ধরণের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যা সেকেন্ডে ১ গিগা বা তার চেয়ে বেশি কম্পন তৈরি করে ।

মাইক্রোওয়েভ দুইভাবে ডাটা ত্রান্সমিট করে যথা টেরেস্ত্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ । এগুলতে একটি ট্রান্সমিটার ও রিসিভার থাকে । এবং এন্টেনা ব্যবহার করে ডাটা ট্রান্সমিশন করতে হয় ।

ইনফ্রারেড ওয়েভ কাকে বলে ? এর সুবিধা অসুবিধা ও ব্যবহার লিখ ?

যে সকল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১ মাইক্রোমিটার থেকে ১ মিলিমিটার পর্যন্ত হয় তাদের ইনফ্রারেড ওয়েভ বলে । ১৮০০ সালে উইলিয়াম হারশেল ইনফ্রারেড ওয়েভ আবিস্কার করেন । টেলিভিশন, সিডি প্লেয়ার, মিউজিক সিস্টেমসহ যাবতীয় রিমোট কন্ট্রোলে ইনফ্রারেড ওয়েব ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এছাড়া ও বিভিন্ন সেন্সর সিস্টেম এ ইনফ্রারেড ওয়েব ব্যবহার করা হয় যেমনঃ তারবিহীন মাউস, কীবোর্ড, প্রিন্টার, ফ্রিজ, ওভেন ইত্যাদিতে ।

সুবিধাঃ

  • তুলনামূলক দামে সস্তা
  • কম পরিমানে বিদ্যুৎ খরচ হয়
  • ১০ মিটার পর্যন্ত কাজ করতে পারে
  • অনেক কম  ব্যান্ড উইডথ এ কাজ করে  ১১৫ কেবিপিএস

অসুবিধাঃ

  • অধিক দূরত্বে ডেটা ট্রান্সফার করা যায় না
  • কুয়াশা ও ধুলাবালিতে ডাটা ট্রান্সফার বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • বাকা পথে কাজ করে না ।

মডেম কি ? মডেমের ব্যবহার বর্ণনা কর ?

মডেম শব্দটি  মডুলেটর ডিমডুলেটর এর সংক্ষিপ্ত রুপ । মডুলেটর ডিজিটাল সংকেত কে এনালগ সংকেতে এবং ডিমডুলেটর এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেত এ পরিনত করে । প্রেরক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেত কে এনালগ সংকেতে পরিনত করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বারা গ্রাহকের নিকট তথ্য উপাত্ত প্রেরন করে এটাকে বলে মডুলেশন আবার গ্রাহকের তথ্য উপাত্ত কে অ্যানালগ সংকেত থেকে কম্পিউটারের উপযোগী ডিজিটাল সংকেতে পরিনত করার ব্যবস্থাকে ডিমডুলেশন বলে ।

মডেম দুই ধরণের হয়ে থাকে  –

১. আকুয়েস্টিক মডেম – সাধারণত কম্পিউটার বা ল্যাপটপের অভ্যন্তরে যে মডেম সরাসরি ইন্সটল করা থাকে তাকে একুয়েস্টিক মডেম বলে । এর ডাটা ট্রান্সফার গতি অপেক্ষাকৃত কম হয়ে থাকে ।

২. ডাইরেক্ট মডেম – কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাথে ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে আলাদা একটি মডেম ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয় । এর গতি একুয়েস্টিক মডেমের থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে ।

নেটওয়ার্ক টপোলজি কি ? কত প্রকার ও কি কি ? বিভিন্ন প্রকার টপোলজির বর্ণনা কর ?

যে পদ্ধতিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অবস্থিত বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ প্রদান করা হয় থাকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে ।

সাধারণত কয়েকটি ভাবে নেটওয়ার্ক টপোলজি ডিজাইন করা হয়ে থাকে যেমনঃ

  • বাস টপোলজি
  • রিং টপোলজি
  • স্টার টপোলজি
  • ট্রি টপোলজি
  • মেশ টপোলজি
  • হাইব্রিড টপোলজি
  • বাস টপোলজিঃ

বাস টপোলজি যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সকল নেটওয়ার্ক ডিভাইস যুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলে । কোন ডিভাইস অন্য ডিভাইসের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে চাইলে একটি সংকেত পাঠায় এবং সবগুলো ডিভাইস সেই সংকেত গ্রহন করে এবং যে ডিভাইস এর জন্য সংকেত পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র সেই ডিভাইস উত্তর প্রেরন করে । 

সুবিধাঃ

  • বাসে সংযুক্ত কোন ডিভাইস নষ্ট হয়ে গেলেও অন্য ডিভাইস গুলোর মধ্যে যোগাযোগের কোন সমস্যা হয় না ।
  • ক্যাবল কম লাগে ।
  • সহজে সম্প্রসারণ করা যায় ।
  • অধিক দুরুত্বের জন্য রিপিটার ব্যবহার করা যায় ।
  • সহজেই নেটওয়ার্ক ডিভাইস সংখ্যা কম বেশি করা যায় ।

অসুবিধাঃ

  • ডিভাইসের সংখ্যা বেশি হলে ডাটা ট্রান্সফার গতি কমে যায় ।
  • প্রচুর ব্যান্ডউইডথ নষ্ট হয়
  • একই চ্যানেলে তথ্য প্রবাহের কারনে ডাটা ট্রাফিক বেশি হয় ।
  • চ্যানেলের মাঝখানে কোন সমস্যা হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যেতে পারে ।

রিং টপোলজিঃ

যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অন্য একটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সাথে বৃত্তাকারে সংযুক্ত  থেকে তাকে রিং টপোলজি বলে । এই পদ্ধতিতে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে  তথ্য পাঠাতে চাইলে সেটা অন্য কম্পিউটারের মাধ্যম হয়ে যায় ।

সুবিধাঃ

  • কোন হাব বা সুইচ ছাড়াই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ।
  • ইচ্ছামত ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়
  • সকল ডিভাইস সমান ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে ।

অসুবিধাঃ

  • যেকোন একটি ডিভাইস নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায় ।
  • সমস্যা নির্ণয় করা কঠিন
  • ডিভাইসের সংখ্যা বাড়লে ট্রান্সমিশন সময় বেশি লাগে ।
  • জটিল সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় ।

স্টার টপোলজিঃ

যখন একটি নেটওয়ার্ক এ অবস্থিত সকল নেটওয়ার্ক ডিভাইস গুলো একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে তখন সেই টপোলজি কে স্টার টপোলজি বলে ।

সুবিধাঃ

  • কোন একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস নষ্ট হলেও অন্য ডিভাইসগুলো বাকি ডিভাইসগুলোর সাথে  যোগাযোগ করতে পারে ।
  • হাব বা সুইচ নষ্ট না হলে অন্য কোন অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও যোগাযোগের কোন সমস্যা হয় না ।
  • একই নেটওয়ার্ক এ সুবিধামত বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্ক ক্যাবল ব্যবহার করা যায় ।
  • কাজের প্রয়োজনে ডিভাইস যোগ অথবা বাদ দেয়া সহজ
  • সুইচ একটি বুদ্ধিমান যন্ত্র হওয়ায় সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায় ।

অসুবিধাঃ

  • সুইচ বা হাব নষ্ট হয়ে গেলে পুর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায় ।
  • অনেক ক্যাবলের দরকার হয় ।
  • অন্য টপোলজির তুলনায় বেশি ব্যয় বহুল

ট্রি টপোলজি

স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রুপ হল ট্রি টপোলজি । এই টপোলজিতে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করা হয় । একটি নির্দিষ্ট রুটের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো যুক্ত থাকে । সার্ভারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে অবস্থিত অন্যান্য ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা হয় ।

সুবিধাঃ

  • নতুন করে ব্রাঞ্চ তৈরির জন্য বেশ উপযোগী
  • অফিস ব্যবস্থাপনায় বেশি ব্যবহার করা হয় ।
  • ডিভাইস যোগ করা বা বাদ দেয়া সহজ

অসুবিধা

  • সার্ভার কম্পিউটারের কোন সমস্যা হলে পুর নেটওয়ার্ক এর সমস্যা হয়
  • অন্যান্য টপোলজির তুলনায় অনেক জটিল

মেশ টপোলজি

যে টপোলজিতে সকল নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলে ।

সুবিধাঃ

  • দ্রুত গতিতে তথ্য উপাত্ত আদান প্রদান করা যায় ।
  • কোন একটি নোড নষ্ট হয়ে গেলেও নেটওয়ার্ক এ তেমন কোন প্রভাব পরে না
  • ডাটা কমিউনিকেশন লস হওয়ার সম্ভবনা কম
  • নেটওয়ার্ক এ কোন সমস্যা হলে সহজে সমাধান করা যায়
  • অন্য টপোলজির চেয়ে অনেক শক্তিশালী অবকাঠামো

অসুবিধাঃ

  • কনফিগার ও সেটআপ করা কঠিন
  • অন্য কোন টপোলজির থেকে খরচ অনেক বেশি

হাইব্রিড টপোলজি

স্টার, রিং, বাস ইত্যাদি নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয় হাইব্রিড টপোলজি । আমরা যে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করি সেটি হচ্ছে হাইব্রিড টপোলজির বড় উদাহরণ ।

সুবিধাঃ

  • নেটওয়ার্ক ইচ্ছামত বাড়ানো বা কমানো যায়
  • নেটওয়ার্ক এর কম সমস্যা হলে সহজেই নির্ণয় করা যায় ।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার কি কি ? বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বর্ণনা কর ?

একটি কেন্দ্রীয় হাব বা সুইচের মাধ্যমে পরস্পর তথ্য ও উপাত্ত আদান প্রদানের জন্য একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, সার্ভার এর মধ্যে যে পদ্ধতিতে সংযক্ত করা হয় তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে ।

আমরা সাধারণত যে সব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকি সেগুলো ভৌগলিক নেটওয়ার্ক সিস্টেম এর মধ্যে পরে । ভৌগলিক দিক থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে চার ভাগে ভাগ করা যায় –

১. পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

সাধারণত ১০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত নেটওয়ার্ক কে আমরা পার্সোনাল নেটওয়ার্ক বলতে পারি । একটি রুমের মধ্যে বা একটি ফ্লাটের মধ্যে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ , প্রিন্টার সার্ভারের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের জন্য পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় । এটা কিছুটা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর মতই । আমরা যে ইনফ্রারেড, ব্লুটুথ টেকনোলোজি ব্যবহার করি সেটা পার্সোনাল নেটওয়ার্ক এর অন্তর্গত । এমআইটি এর গবেষক টমাস জিম্মারম্যান এবং তার সহযোগীরা প্রথম পার্সোনাল নেটওয়ার্ক এর ধারনা দেন ।

২. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক পদ্ধিতির একটি হল লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক । বাসাবাড়ি, ব্ড় বড় অফিস আদালত, স্কুল কলেজে ও ব্যবসা প্রতিস্থানে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় । এর ব্যপ্তি ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে । লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে একাধিক সার্ভার কম্পিউটার যুক্ত থাকে । সাধারণত কো এক্সিয়াল ক্যাবল ও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা হয় । একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর দূরত্ব ১৮৫ মিটার ও সর্বাধিক ৪ টি রিপিটার ব্যবহার করা যায় । আমরা একটি ছবির মাধ্যমে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব ।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কে আবার কাজের উপর নির্ভর করে দুইভাগে ভাগ করা যায় –

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক

কোন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এ কমপক্ষে একটি সার্ভার কম্পিউটার এবং দুই বা ততোধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিভাইস থাকবে এবং ওয়ার্কষ্টেশন গুলো সার্ভারের রিসোর্স শেয়ার করতে পারবে তাকে ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক বলে ।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক । ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান থেকে মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে ।

উইন্ডোস এনটি/ উইন্ডোস সার্ভার, ইউনিক্স, লিনাক্স ইত্যাদি সার্ভার কম্পিউটার বেশি ব্যবহার করা হয় ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক

যে নেটওয়ার্ক এ কোন নির্দিষ্ট সার্ভার কম্পিউটার থাকে না তাকে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বলে । এখানে একটি সার্ভার কম্পিউটার ও সাধারন কম্পিউটারের মত ফাইল শেয়ার করতে পারে ।

সুবিধা-

  • পিয়ার টু পিয়ার এ নেটওয়ার্ক ডিজাইন করা অনেক সহজ
  • ব্যবহারকারীরা সবাই সমান ফাইল ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে থাকে ।

অসুবিধা –

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক দুর্বল
  • কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় না ।
  • একাধিক নেটওয়ার্ক এ সংযুক্ত করা যায় না ।

৩. মেট্রোপলিটন নেটওয়ার্কঃ

একই শহরে অবস্থিত বিভিন্ন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কে যে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয় তাকে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে । এর সেটআপ লোকাল এরিয়া থেকে বড় হয়ে থাকে । উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলতে পারি , কোন একটি প্রতিষ্ঠানের একই শহরে একাধিক ব্রাঞ্চ এর মধ্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় সেটাই হল মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক । ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার, রেডিও ওয়েভ ও মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল ব্যবহার করা হয় ।  

৪. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

 বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম হল ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক । এই নেটওয়ার্ক এর পরিধি সারা পৃথিবীব্যাপি বিস্তৃত  । আমরা মোবাইলে, কম্পিউটার, ল্যাপটপে যে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করি তাই হল ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক । এটাকে ইন্টারনেট হিসেবেও আমরা বলে থাকে । আমরা বাসা বাড়িতে রাউটার এর মাধ্যমে বিভিন্ন আইএসপি থেকে এই সার্ভিস পেয়ে থাকে । ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য স্যাটেলাইট, মোডেম, রাউটার ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি ।

সুবিধা –

  • পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব ।
  • অনেক দ্রুতগতিতে তথ্য আদান প্রদান করা যায় ।
  • অনলাইনে তথ্য উপাত্তের এক বিশাল সমাহারের সাথে যুক্ত হয়া যায় ।
  • ঘরে বসেই ক্লাস, পরীক্ষা দেয়া যায় ।
  • ঘরে বসেই আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা যায় ।
  • অনলাইনে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে কেনাকাটা করা যায় ।

ক্লাউড কম্পিউটিং কি ? এর সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ বর্ণনা কর ?

ক্লাউড শব্দের অর্থ হল মেঘ । আকাশে যেমন সর্বত্র মেঘ বিদ্যমান থাকে তেমনি ইন্টারনেট সেবা সর্বত্র রাখার আধুনিক ব্যবস্থাকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলে । আবার গ্রাহকের চাহিদামত ইন্টারনেট ব্যবহারের সকল সুযোগ সুবিধা অন লাইনে প্রদান করার ব্যবস্থাকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলে । ক্লাউড কম্পিউটিং এর তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে –

১। রিসোর্স স্কেলেবিলিটি –  ছোট হোক বা বড় হোক গ্রাহকের চাহিদামত যে সেবা যে পরিমান চাইবে তাই তাকে দিতে পারবে ।

২। অন – ডিমান্ড – গ্রাহকের ইচ্ছামত সেবা বাড়াতে বা কমাতে পারবে ।

৩। পে এজ ইউ গো –  পে এজ ইউ গো হল একটি সার্ভিস যার অর্থ হল গ্রাহক যতটুকু ব্যবহার করবে সে ঠিক ততটুকুর জন্য অর্থ খরচ করবে ।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি – কম্পিউটার ডাটা, স্টোরেজ সহজে গ্রাহকের সুবিধামত চাহিদা অনুযায়ী চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার অনুযায়ী অর্থ খরচ করার সুবিধাকে বলে ক্লাউড কম্পিউটিং বলে ।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মডেলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় –

সফটওয়্যার সেবা – SaaS (Software/Application as a Service) ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের তৈরি করা সফটওয়্যার / অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদেরকে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয় । 

প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা  PaaS (Platform as a Service) এই ব্যবস্থায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীকে তাদের হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ, প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন করার সুবিধা দিয়ে থাকে । 

অবকাঠামোগত সেবা  IaaS (Infrastructure as a Service) ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীকে তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ, অপারেটিং সিস্টেম ভাড়া দিয়ে থাকে । ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী এসব সুবিধা ভোগ করতে পারে ।

সুবিধাঃ

  •  সব সময় ব্যবহার করা যায়
  • যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য উপাত্ত আপলোড ডাউনলোড করতে পারবে ।
  • নিজস্ব কোন হার্ডওয়্যার এর প্রয়োজন হয় না ।
  • তথ্য জমা ও প্রসেস সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয় না ।
  • যে কোন হার্ডওয়্যার দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়
  • অপারেটিং খরচ কম
  • স্বয়ংক্রিয় ভাবে সফটওয়্যার আপডেড হয়ে যায়

অসুবিধা

  • তথ্য, সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন এর উপর গ্রাহকের নিয়ন্ত্রন থাকে না ।
  • তথ্য উপাত্ত কোথায় সংরক্ষিত হচ্ছে টা জানার উপায় নাই
  • তথ্যের নিরাপত্তার শঙ্কা থাকে

অধ্যায় – ৩

( সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের কোন সংখ্যা পদ্ধতিটি নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি ?

ক। বাইনারি খ। প্রাচীন হায়ারোগ্লিফিক্স   

গ। রোমান ঘ। অক্টাল

পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন একটি সংখ্যার মান বের করার জন্য কোনটি প্রয়োজন ?

ক। সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অংকগুলোর নিজস্ব মান খ। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত

গ। সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অংকগুলোর স্থানীয় মান ঘ। উপরের সবগুলো

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট কয়টি চিহ্ন বা অংক থাকে ?

ক। ১০ খ। ১৬

গ। ১৫ ঘ। ৮

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে কোন ভোল্টেজ লেবেলটি সংজ্ঞায়িত নয় ?

ক। ০ ভোল্ট থেকে  +০.৮ ভোল্ট খ। +২ ভোল্ট থেকে +৫ ভোল্ট

গ। +০.৮ ভোল্ট থেকে +২.০ ভোল্ট ঘ। উপরের একটিও নয়

৯৯ এর সমকক্ষ বাইনারি সংখ্যা কোনটি ?

ক। ১১০১০১১ খ। ১০১০০১১

গ। ১১০০০১১ ঘ। ১১০১০১০

(B5D)16 এর সমকক্ষ দশমিক সংখ্যা কোনটি ?

ক। ২৯০৯ খ। ৩৯০৯

গ। ১৯০৯ ঘ। ৪৯০৯

(১২৭)৮  এর সমকক্ষ বাইনারি সংখ্যা কোনটি ?

ক। (১০১০১০১)২ খ। (১০১০১১১)২

গ। (১১১০১০১)২ ঘ। (১০১১১০১)২

২ এর পরিপূরক নির্ণয়ের সুত্র নিম্নরূপ ?

ক। (১০১০১০১)২ খ। (১০১০১১১)২

গ। (১১১০১০১)২ ঘ। (১০১১১০১)২

২৫৬ কে বাইনারিতে প্রকাশ করতে গেলে কত বিট প্রয়োজন ?

ক। ৮ বিট খ। ১৬ বিট

গ। ৩২ বিট ঘ। ৪ বিট

২ এর পরিপূরক নির্ণয়ের সুত্র কোনটি ?

ক। ১ এর পরিপূরক +১ খ। ১ এর পরিপূরক -১

গ। ১ এর পরিপূরক + সংখ্যাটির সমকক্ষ বাইনারি ঘ। উপরের একটিও নয়

ইউনিকোড কত বিটের ?

ক। ৮ বিট খ। ১৬ বিট

গ। ৩২ বিট ঘ। ৪ বিট

৩ ইনপুট বিশিষ্ট লজিক গেইটের যে কোন একটি ইনপুট অন হলে বর্তনীটি পূর্ণ হয় –  কোন লজিক গেইটে ?

ক। ৩ ইনপুট বিশিষ্ট অর গেইট খ। ৩ ইনপুট বিশিষ্ট এন্ড গেইট

গ। ৩ ইনপুট বিশিষ্ট নর গেইট ঘ। ৩ ইনপুট বিশিষ্ট ন্যান্ড গেইট

মৌলিক যৌক্তিক বা লজিক্যাল অপারেশন কয়টি ?

ক। ২ টি খ। ৩ টি  

গ। ৪ টি ঘ। ৫ টি

দুটি বিটের অবস্থা তুলনা করার জন্য কোন গেইট ব্যবহার করা হয় ?

ক। এক্স নর খ। নর

গ। এক্স অর ঘ। অর

কোন গেইটের ইনপুটে বেজোড় সংখ্যক ১ হলে আউটপুট ১ হয় ?

ক। এক্স নর খ। নর

গ। এক্স অর ঘ। অর

কোন গেইটের ইনপুট ১ হলে আউটপুট ০ হয় ?

ক। এক্স নর খ। নট

গ। এক্স অর ঘ। অর

কোন গেইটের সকল ইনপুট ১ হলেই কেবল আউটপুট ১ হয় ?

ক। অ্যান্ড খ। নট

গ। এক্স অর ঘ। অর

কোন গেইটের যে কোন একটি ইনপুট ১ হলে আউটপুট ১ হয় ?

ক। অ্যান্ড খ। নট

গ। এক্স অর ঘ। অর

নিচের কোনটি উদ্ভূত গেইট ?

ক। অ্যান্ড খ। নট

গ। এক্স নর ঘ। অর

নিম্নের কোনটি সত্য নয় ?

ক। একটি মৌলিক গেইট দিয়ে যেকোন সার্কিট তৈরি করা যায় ।

খ। সার্বজনীন গেইট দিয়ে যেকোন মৌলিক গেইট তৈরি করা যায় ।

গ।  সার্বজনীন গেইট দিয়ে যেকোন সার্কিট তৈরি করা যায় ।

ঘ। নট গেইট একটি মৌলিক গেইট

নিম্নের কোনটি সত্য নয় ?

ক। একটি এনকোডারের ইনপুট ২৫৬ টি এবং আউটপুট ৮ টি

খ। একটি ডিকোডারের ইনপুট ২৫৬ টি আউটপুট ৮ টি

গ। একটি ডিকোডারের ইনপুট ৮ টি আউটপুট ২৫৬ টি

ঘ। উপরের সবগুলো

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

অধ্যায় – ৪

( ওয়েব ডিজাইন এবং এইচটিএমএল )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

এইচটিএমএল কোড লিখার জন্য আমরা ব্যবহার করি –

ক। নোটপ্যাড খ। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

গ। যে কোন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার ঘ। উপরের সবগুলো

ডোমেইন নেম হল –

ক। সাইটের একটি স্বতন্ত্র নাম খ। সার্ভারের নাম

গ। ওয়েব ফাইল নাম ঘ। আইএসপি

এইচটিএমএল এর উদ্ভাবক হলেন – 

ক। টিম বার্নার্স লী খ। মাইকেল জুকারবার্গ

গ। স্টীভ  জবস ঘ। উপরের কোনটি সঠিক নয়

এইচটিএমএল হল

ক। ওয়েব ব্রাউজার খ। ডেটা উপস্থাপনের ভাষা

গ। প্রোগ্রামিং ভাষা ঘ। উপরের কোনটি সঠিক নয়

HTML  ফাইল নামের এক্সটেনশন হল

ক। html খ। txt

গ। htm ঘ। ক ও গ   

নিচের কোন HTML ট্যাগে লেখা সবচেয়ে ছোট হয় –

ক। h1 খ। h6

গ। h2 ঘ। h7

HTML এ P প্যারাগ্রাফ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়

ক। প্যারাগ্রাফ তৈরি করার জন্য খ। নতুন পেজ তৈরির জন্য

গ। লেখা বোল্ড করার জন্য ঘ। কোনটিই নয়

Webpage a href দ্বারা কি বুঝায় –

ক। a hot reference খ। a hyperlink replace

গ। a hyperlink reference ঘ। কোনটিই নয়

একটি স্বাভাবিক সার্চ অথবা অন পেইজ সার্চ রেজাল্টে কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটের দৃষ্টিগোচরতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে বলে –

ক। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO

খ।  Content Marketing

গ। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা  Display Advertising

ঘ। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা  SEM

নিচের কোনটি ইন্টারনেট মার্কেটিং পদ্ধতি

ক। সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং খ। ই মেইল মার্কেটিং

গ। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা  Display Advertising ঘ। উপরের সবগুলো  

বাংলাদেশে ই কমার্স প্রচলন করার জন্য অনেক ধরণের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে । নিচের কোনটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা ?

ক। ইন্টারনেট সংযোগ / টেলিযোগাযোগ সমস্যা  খ। ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সমস্যা

গ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার স্বল্পতা ঘ। উপরের সবকটি

ওয়েবসাইট তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয় কোনটি ?

ক। টেকনোলজি স্পেসিফিকেশন খ। ওয়েবসাইট আপডেটকরন

গ। সার্চ ইঞ্জিনের দ্রুত প্রসেসিং করার ক্ষমতা ঘ। উপরের সবকটি 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

অধ্যায় – ৫

( প্রোগ্রামিং ভাষা )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কম্পিউটার প্রোগ্রামের ভাষার সর্বনিম্ন স্তর কোনটি ?

ক। মেশিন ভাষা খ। হাই লেভেল ভাষা

গ। অ্যাসেম্বলি ভাষা ঘ। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা

কোন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে ?

ক। মেশিন ভাষা খ। হাই লেভেল ভাষা

গ। অ্যাসেম্বলি ভাষা ঘ। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা

কোন ভাষা দিয়ে কম্পিউটারের মেমরি অ্যাড্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ সাধন সম্ভব ?

ক। মেশিন ভাষা খ। হাই লেভেল ভাষা

গ। অ্যাসেম্বলি ভাষা ঘ। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা

কোন অনুবাদক দিয়ে সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটি এক সাথে অনুবাদ করা সম্ভব ?

ক। অ্যাসেম্বলার খ। কম্পাইলার

গ। ইন্টারপ্রেটার ঘ। উপরের সবকটি

প্রোগ্রামের ভাষা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি বিবেচ্য ?

ক। সমস্যার প্রকৃতি খ। ভাষা ব্যবহারের ও শেখার সুবিধা

গ। ভাষার গঠনগত বিষয়াদি ঘ। উপরের সবকটি

প্রোগ্রাম ডিজাইন ধাপে কোন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকে ?

ক। ইনপুট ডিজাইন খ। আউটপুট ডিজাইন

গ। ইনপুট ও আউটপুটের মধ্যে সম্পর্ক ডিজাইন ঘ। উপরের সবকটি

কোনটি অনুবাদক প্রোগ্রাম নয় ?

ক। অ্যাসেম্বলার খ। কম্পাইলার

গ। ইন্টারপ্রেটার ঘ। উপরের কোনটি নয়

কোন শর্তটি অ্যালগরিদম সিদ্ধ করে ?

ক। সসীম সংখ্যক ধাপে সমস্যার সমাধান করে খ। কোন ধাপই দ্ব্যর্থবোধক হবে না

গ। অ্যালগরিদম সহজবোধ্য হবে   ঘ। উপরের সবকটি  

বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোগ্রামের ভাষা হল সি প্রোগ্রামিং ভাষা । দক্ষতা অর্জন করলে এই ভাষার মাধ্যমে প্রায় সকল ধরণের সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব । ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ও সি প্রোগ্রাম পাঠদান চালু করা হয়েছে । বর্তমানে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এই ভাষা ক্লাসে পাঠদান করছেন ।

কোনটি সি প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য নয় ?

ক। উচ্চ স্তরের ভাষা খ। মধ্যম স্তরের ভাষা

গ। নিম্ন স্তরের ভাষা ঘ। উপরের কোনটি নয়

নিচের কোনটি সঠিক ?

ক। সি ভাষা কেস সেনসেটিভ খ। সি চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা

গ। সি ভাষা কেস সেনসেটিভ নয় ঘ। উপরের সবগুলো

কোনটি সি প্রোগ্রামের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ?

ক। printf() Function খ। main() Function

গ। getch() Function ঘ। scanf() function

সি প্রোগ্রামে getch() Function ব্যবহার করতে হলে কোন হেডার ফাইলটি প্রোগ্রামের শুরুতে  include করতে হবে ?

ক। printf() Function খ। main() Function

গ। getch() Function ঘ। scanf() function

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

অধ্যায় – ৬

( ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম )

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Database Management System এর কাজ নয় ?

ক। ডাটা সংরক্ষণ করা খ। ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ

গ। রিপোর্ট তৈরি করা ঘ। উপরের কোনটি নয়

কোন ক্ষেত্রে Database ব্যবহার করা হয় না ?

ক। তথ্য ব্যবস্থাপনা খ। গ্রাফিক্স ডিজাইনে

গ। উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ঘ। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায়

Database থেকে কোন তথ্য খোঁজার জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয় ?

ক। HTML খ। SQL

গ। XML ঘ। উপরের কোনটি নয়

Data Encryption and Decryption  করার বিষয়কে কি বলে ?

ক। Cybernetics সাইবারনেটিক্স খ। Cryptography ক্রিপ্টোগ্রাফি

গ। Informatics ইনফরমেটিক্স ঘ। Cystography সিস্টোগ্রাফি

কোনটি Data Encryption মুল অংশ নয় ?

ক। Plaintext প্লেইনটেক্সট খ। Ciphertext সাইফারটেক্সট

গ। Encryption Algorithm  ঘ। উপরের সবগুলো

Query  কুয়েরি হল

ক। Database কে সবসময় আপডেট রাখা খ। Database থেকে কোন কিছু খুজে বের করা  

গ। Database কে নানাভাবে উপস্থাপন করা ঘ। উপরের সবগুলো

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

LEARNICTBD